বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৭ অপরাহ্ন
বিশেষ প্রতিনিধি:
ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার চেঁচরী রামপুর এম. এল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. ছরোয়ার হোসেনকে বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাৎ ও নিয়োগ-সনদ জালিয়াতিসহ ১৬টি অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। আজ সোমবার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মেহেদী হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে গত বৃহস্পতিবার প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
বরখাস্তকৃত সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. ছরোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরের সমস্ত আয়ের প্রায় ১০ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও ক্যাশ খাতা আত্মগোপন করে রাখা, শিক্ষক নিয়োগের তিনটি রেজুলেশন খাতা বিদ্যালয় থেকে নিযে বাড়িতে রাখা, নিজের তথ্য গোপন করে সহকারি প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ নেওয়ার পর ২০১৭ সালের অডিট আপত্তিতে বিদ্যালয়ের শিক্ষক না হওয়া সত্তে¡ও প্রধান শিক্ষককে ভয়ভীতি দেখিয়ে নিয়মিত বেতন ভাতা গ্রহণ, বিদ্যালয়ের সুনাম নষ্ট করার জন্য বহিরাগত লোক দিয়ে নিয়মিত ম্যানেজিং কমিটির সকলের নামে ঝালকাঠি কোর্টে মামলা দায়েরে সম্পৃক্ত থাকা, ক্লাসে পাঠদানে অক্ষম, পরীক্ষার খাতা অন্যকে দিয়ে মূল্যায়ন করানো, প্রধান শিক্ষককে ভাড়াটিয়া সন্ত্রসীদ্বারা খুন ও জখমের হুমকী, চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর পদে চাকরি দেওয়ার নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া, সরকারি কাজে সবসময় বাধা সৃষ্টি করা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং কমিটি গঠনের প্রিজাইডিং কর্মকর্তাকে নিয়ে কটুক্তি করাসহ ১৬টি অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মেহেদী হাসান জানান, সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. ছরোয়ার হোসেন ওরফে সোরাপ হোসেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বপালনের সময়ে বিদ্যালয়ের দশ লাখ টাকা আত্মসাৎ, রেজুলেশন বই বাড়িতে নিয়ে ফেরত না দেয়া, তার নিয়োগ ও কাগজপত্রে জালিয়াতির ঘটনায় মন্ত্রণালয়ের অডিট রির্পোটে বিল প্রদানে আপত্তিসহ বিদ্যালয় পরিপন্থি বিভিন্ন কর্মকান্ডে জড়িত থাকার কারণে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভায় গত বৃহস্পতিবার (৫ মে) তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
বরখাস্তকৃত সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. ছরোয়ার হোসেন বলেন, প্রধান শিক্ষক নিজেই বরখাস্তকৃত। সে আবার আমাকে কি বরখাস্ত করবে। আর আমি বরখাস্তের কোন চিঠি পাইনি। আর বরখাস্ত হওয়ার মতো কোন অপরাধও করিনি। আর হেড মাস্টোরের আমাকে বরখাস্ত করার ক্ষমতাও নাই।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. হাবিবুর রহমান বলেন, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত মোতাবেক সহকারি প্রধান শিক্ষক মো. ছরোয়ার হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।